প্রধান গদিনশীন ও মোন্তাজেমে দরবার শরীফ
বর্তমান প্রধান গদিনশীন পীর
আলহাজ্জ্ব খাজা হযরত শাহ সূফী সৈয়্যেদ নূরে আখতার হোসাইন আহমদীনূরী ওরফে চুন্নু মিয়া শাহ মাঃজিঃআঃ
উপ-মহাদেশের প্রখ্যাত অলিয়ে কামিল, বেলায়েত গগনের সূর্য অলিকুল শিরোমণি শামসুল উলামা আল্লামা হযরত শাহ্ সূফী সৈয়্যেদ আহ্মদ আলী ওরফে হযরত জানশরীফ শাহ্ সুরেশ্বরী রাঃ এর পৌত্র এবং হযরত মাওলানা শাহ্ সূফী সৈয়্যেদ নূরশাহ্ রাঃ ওরফে হযরত শাহ্ সূফী সৈয়্যেদ আবদুল হাই রাঃ এর সর্ব কনিষ্ঠ পুত্র হযরত খাজা শাহ্ সূফী সৈয়্যেদ নূরে আখতার হোসাইন আহ্মদীনূরী ওরফে চুন্নু মিয়া শাহ্ মাঃ জিঃ আঃ। তিনি বর্তমানে দরবারে আউলিয়া সুরেশ্বর দ্বায়রা শরীফের প্রধান গদিনশীন পীর ও মোন্তাযেমে দরবার শরীফের পদে অধিষ্ঠিত হয়ে দরবার শরীফের সার্বিক কার্যক্রম সুচারু রূপে সাফল্যের সাথে পরিচালনা করছেন। তিনি ১৯৪৩ খৃষ্টাব্দের ১৮ই নভেম্বর মোতাবেক বাংলা ১৩৫০ সনের ২রা অগ্রহায়ণ দিবাগত রাতে সুবহে সাদিকের সময় বরুণ ক্ষণে উত্তর-ফাগুনী নক্ষত্রে ভুবন আলোকিত করে ধরনীর বুকে আবির্ভূত হন।
যাঁর পবিত্র ঔরসে তিনি এ মায়াময় পৃথিবীতে আগমন করেছেন, তিনিও জগদ্বিখ্যাত আল্লাহর অলি হযরত মাওলানা শাহ্ সূফী সৈয়্যেদ নূরশাহ্ ওরফে হযরত শাহ্ সূফী সৈয়্যেদ আবদুল হাই রাঃ। তাঁর মাতার নাম আলহাজ্জ্ব হযরত সৈয়্যেদা বেগম আশরাফুন্নেছা রাঃ। হযরত খাজা শাহ্ সূফী সৈয়্যেদ নূরে আখতার হোসাইন আহ্মদীনূরী মাঃ জিঃ আঃ হলেন আওলাদে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের এক উজ্জ্বল বংশধর।
তাঁর পিতৃকুলের ঊর্ধ্বতন প্রসিদ্ধ আধ্যাত্মিক মহাপুরুষ হযরত শাহ্ সূফী সৈয়্যেদ মানিক শাহী ফরিদপুরী এবং সপ্তম পুরুষ আলহাজ্জ্ব হযরত মাওলানা শাহ্ সূফী সৈয়্যেদ দীদার উল্লাহ সাহেব রাঃ মদিনা মুনাওয়ারা থেকে ধর্ম প্রচারের উদ্দেশ্যে বর্তমান ইরাক, ইরান, আফগানিস্তান, পাকিস্তান ও ভারত হয়ে বাংলাদেশে আগমন করেন। তাঁর পূর্ব পুরুষগণ প্রত্যেকে ছিলেন জ্ঞান সাধনায় ও আধ্যাত্মবাদে জগদ্বিখ্যাত আল্লাহর অলি ও আধ্যাত্মিক পথের দিশারী। তাঁরা জ্ঞানে-গুণে, শিক্ষা-দীক্ষায়, আভিজাত্যে ছিলেন অনন্য।
হযরত খাজা শাহ্ সূফী আহ্মদীনূরী এমনই এক বিশ্ব পরিস্থিতিতে পৃথিবীর বুকে আবির্ভূত হন যা ইতিহাসের পাতায় উজ্জ্বল রূপে পরিদৃষ্ট হয়। তাঁর আগমনই যেন পৃথিবীর বুকে বয়ে আনলো কল্যাণ বার্তা। দূর হলো ক্ষুধা-মন্দা, দুর্ভিক্ষ, যুদ্ধ-বিগ্রহ ও অশান্তির অমানিশা। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের অবসান ও তদানীন্তন ভারত বর্ষের পূর্ববঙ্গ (বর্তমান বাংলাদেশ) থেকে ১৯৪৩ মোতাবেক বাংলাতে ’৪৯-এর মন্বন্তর দূর হয়ে বাংলার মাঠ-প্রান্তর শস্য-শ্যামলিমায় পূর্ণ হলো আর বন-বনানী ফুলে ফলে ভরে গেল।